মিয়ানমার ও চীনসহ ১১ দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

মিয়ানমার ও চীনসহ ১১ দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

Brand Bazaar

ওই বিবৃতিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘সুনির্দিষ্টভাবে উদ্বেগের দেশ’ বা সিপিসি শ্রেণিতে থাকা দেশগুলো হলো— মিয়ানমার, চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সুদান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান। এর বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য পাকিস্তানকে বিশেষ পর্যবেক্ষণ তালিকায় রাখা হয়েছে।

মিয়ানমার ও চীনসহ ১১ দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার দিক থেকে সিপিসি শ্রেণির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরা হয়। ১৯৯৮ সালের ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্ট অনুযায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি বছর এই তালিকা তৈরি করেন। দেশগুলোতে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তালিকা হালনাগাদ করা হয়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়— ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের কারণে দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নিগৃহীত হচ্ছে মানুষ।  অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত কিংবা কারাবন্দি হচ্ছেন তারা। বেশ কয়েকটি সরকার মানুষের ধর্ম গ্রহণ, পরিবর্তন বা ত্যাগের ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা অত্যাবশ্যক। বিশ্বাসের কারণে কাউকে ভয়ের মধ্যে বসবাস করা, গোপনে ধর্ম পালন বা বৈষম্যের শিকার হওয়া উচিত নয় বলে মনে করে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে, এই তালিকায় থাকা অনেক দেশ ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছে। তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

গত বছরের আগস্টে প্রকাশিত তালিকায় সিপিসি শ্রেণিতে থাকা দেশগুলো হচ্ছে মিয়ানমার, চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment